নরসিংদীর মাধবদীতে শিল্পকারখানা সহ বসত বাড়ি ভাংচুর আহত ৫ আদালতে মামলা

মো: শফিকুল ইসলাম: নরসিংদীর মাধবদী দক্ষিন চৌয়া এলাকায় পুর্ব শুক্রতার জেরধরে আগনী অস্ত্র ও বোলডেজার সহ ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী ব্যাবসায়ী আ: মতিনের শিল্প কারকানায় ও বসত বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে ও লুটপাটের ঘটনা ঘটায়।

এসময় হামলায় অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে। এই ঘটনার গত ১১ জুলাই আ: মতিন বাদী হয়ে দ্যুত বিচার আইনে জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বেগম শাহিন আক্তার ৩ য় আদালতে একটি মামলা দায়ের করে যাহার নং ৯/ ২০১৯ ইং। কোর্টের প্রেসকার খলিল আহমেদ জানায় আ: মতিন বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাত নামা ২০/২৫ জনকে আসামী করে মামলাটি দায়েরের পর আমলে নিয়ে ওসি মাধবদীকে আইন গত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বলা হয়েছে।

ব্যাবসায়ী আ: মতিন জানান, ড্রিমহলিডের মালিক প্রবির শাহার বাতিজা রঞ্জন শাহার বাড়ীর পাশে আ: মতিনের বাড়ী রঞ্জন শাহা আ: মতিনের বাড়ী বিক্রির প্রস্তাব করে এতে আ: মতিন বাড়ী বিক্রি করতে রাজি না হইলে ড্রিম হলিডের মালিক ও চেযারম্যান বাড়ী ছেড়ে দেওয়ার জন্য আ: মতিনের উপর চাপ সৃষ্টি করে ফলে নরসিংদী সদর থানা পশ্চিম কান্দাপাড়ার মৃত নারায়ণ সাহা পুত্র রঞ্জন সাহা (৪০), মাধবদী থানার দক্ষিন চৌয়া গ্রামের মৃত রৌশন আলী পুত্র আলম চাঁন (৩৮)মৃত আসাদ আলীর পুত্র সাইফুল ইসলাম(৪০)মৃত মফিজ উদ্দিনের পুত্র বাতেন(৫৫) মৃতমফিজ উদ্দিনের পুত্র জাহিদ হাসান(৪৫) সহ ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী বুধবার ১০ জুলাই সকাল ১০ টায় বোলড্রেজার নিয়ে আ: মতিনের শিল্প কারখানায় ও বসত বাড়ীতে হামলা চালিয়ে শিল্প কারখানা ও বসত বাড়ী ভাংচুর করে মূল্যবান আসবার পত্র ও নগদ টাকা সহ ১০ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে এসময় আ: মতিন সহ ৫ জন আহত হয়।

এসময় সন্ত্রাসীরা ফাকা গুলিকরে আতংক সৃস্টি করে। ঘটনার সাথে সাথে মাধবদী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ও এব্যাপারে কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। পরে থানা পুলিশ মামলা না নিলে আদালতে মামলাটি দায়ের করেন আ: মতিন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ড্রিম হলিডের মালিক প্রবির শাহা দাবী করেন, আ: মতিন ও রঞ্জন শাহার মধ্যে দীর্ঘ দিন যাবৎ আদালতে আ: মতিনের বাড়ী নিয়ে কয়েকটি মামলা বিচারধীন আছে। তাদের মধ্যে কোন সমাধান না হওয়ায় এমনটা ঘটেছে। বর্তমানে সন্ত্রাসীদের ভয়ে আ: মতিন বাড়ী চেড়ে পালিয়ে বেরাচ্ছে।

এব্যাপারে নরসিংদী পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত রাখার চেষ্টা করছি । আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখছি।

এখানে কমেন্ট করুন: