নরসিংদীতে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে দুটি সড়কের পাশে দাড়িয়ে থাকা শত শত মরা গাছ। সামান্য ঝড় বাতাসে এসব গাছ ভেঙ্গে পড়ায় দুর্ঘটনায় পড়ছেন পথচারী ও যানবাহন। এতে ঘটছে প্রাণহানির ঘটনাও। দুর্ঘটনা রোধে এসব ঝুঁকিপূর্ণ মরা গাছ কেটে নেয়ার দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীরা জানান, ঢাকা-কটিয়াদী সড়কের নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার ইটাখোলা হতে মনোহরদী সড়ক ও সদর উপজেলার পাঁচদোনা মোড় হতে পলাশ উপজেলার চরসিন্ধুর সড়কের দুইপাশে শুকিয়ে দাড়িয়ে আছে চার শতাধিক মৃত অর্ধমৃত গাছ। জেলা পরিষদ এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক সড়কের দুই পাশে লাগানো শিশু প্রজাতির এসব বড় গাছ দীর্ঘদিন ধরেই মরে দাড়িয়ে রয়েছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মরা গাছ ও গাছের ডালপালা সামান্য বাতাস বা ঝড়েই ভেঙে পড়ছে সড়কের উপর। আর এতে দুর্ঘটনায় পড়ছেন পথচারী ও যাত্রীবাহি বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন।
গত দুই মাসে শিবপুর উপজেলায় এসব মরা গাছ চাপা পড়ে মারা গেছেন দুইজন।যখন তখন গাছ ও গাছের ডালপালা ভেঙ্গে পড়ায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে যাতায়াত করতে হচ্ছে পথচারীদের। গাছ ভেঙ্গে সড়কের ওপর পড়ায় বিঘিœনত হচ্ছে যানচলাচল। বিশেষ করে রাতের আঁধারে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা গাছগুলো যেন মরণ ফাঁদ।
মরা গাছের কারণে দুর্ঘটনা ঘটায় দ্রুত এসব গাছ কেটে সরিয়ে নেয়ার দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা। মরা গাছগুলো কেটে নিয়ে এসব স্থানে ফলের গাছ রোপনের দাবী তাদের।উপজেলার ধানুয়া গ্রামের শেখ মানিক বলেন, এই সড়কটি খুবই ব্যস্ততম একটি সড়ক। মরা গাছের কারণে আতংকের মধ্য দিয়ে যাতায়াত করতে হয় এই সড়কে। গত ২ মাসে গাছ চাপায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। যখন তখন ডালপালা ভেঙ্গে পড়ে সড়ক চলাচলে বিঘœ ঘটে।
শিবপুর উপজেলার বান্ধারদিয়া এলাকার ব্যবসায়ী তরুন মৃধা বলেন- অনেকদিন হয় শতশত গাছ মরে গেছে, এখন এসব গাছ ও ডালপালা যখন তখন ভেঙ্গে সড়কের উপরে পড়ছে। কিছুদিন আগে এলাকার এক কিশোরের উপর গাছ চাপা পড়লে সে মারা যায়। এসব গাছ দ্রুত কেটে নেয়া উচিত।যোগাযোগ করা হলে নরসিংদী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোফাজ্জল হায়দার বলেন, সরকারের সংশিষ্ট দপ্তরের অনুমোদন নিয়ে টেন্ডারের মাধ্যমে খুব দ্রুতই মরা গাছগুলো কেটে নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে জরিপ করা হয়েছে। কিছুগাছ জেলা পরিষদের মালিকানাধীন রয়েছে।মরা গাছের জায়গায় নতুন করে গাছের চারা রোপনের উদ্যোগও নেয়া হবে।