নরসিংদীতে শ্রমিকদের আমরন অনশনে অসুস্থ ১১, পাশে দাড়ালো প্রেসক্লাব

নরসিংদীতে মজুরী কমিশন,বকেয়া বেতন,চাকুরী স্থায়ী করন সহ ১১ দফা দাবী আদায়ে টানা তৃতীয়দিনের মতো শ্রমিকদের আমরন অনশন কর্মসূচি। অনশনের ফলে একে একে ১১ জন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের মধ্যে ৫ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে শ্রমিকদের ন্যায ও যৌক্তিক দাবী আদায়ে শ্রমিকদের পাশে দাড়িয়েছেন নরসিংদী প্রেসক্লাব। একই সাথে শ্রমিকদের সমবেদনা জানিয়ে সংহতি প্রকাশ করেছেন প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মাজহারুল পারভেজ।

এছাড়া সংহতি প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মোঃ শফিকুল্ ইসলাম, জেলা মানবঅধিকার কমিশনের নরসিংদী জেলা কমিটির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুর এলাহী। মঙ্গলবার বেলা ১২টা থেকে শুরু হওয়া অনশন এখনো চলছে।

এদিকে অসুস্থ হয়ে পড়া শ্রমিকদের হাসপাতালে স্থানান্তরীত করার জন্য জেলা স্বাস্থ্য বিভাহের উদ্যেগে জরুরী ভিত্তিত্বে একটি এম্ব্যুলেন্স আমরন অনশন মঞ্চের পাশের রাখা হয়েছে।

অনশনে উপস্থিত ছিলেন ইউএমসি জুট মিলের সিবিএ সভাপতি শফিকুল ইসলাম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন,কাউছার আহাম্মেদ,সুমন খন্দকার,জাকির হোসেন, নন সিবিএ পরিষদের সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান, মোশারফ হোসেন,কাউযুম প্রধান,শামসুল আরেফিন,ইসা হাবিব রিপন সরকার সহ ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ইউএমসি জুট মিলের সিবিএ সভাপতি শফিকুল ইসলাম মোল্লা বলেন,তিন দিন যাবৎ অনশন চলছে। এতে শ্রমিকরা ক্লান্ত হয়ে পড়ছে। ইতি মধ্যেই ১১ জন শ্রমিকর না খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এদের মধ্যে নন সিবিএনর সাবেক সাধারন সম্পাদক মিজার্ বশির আহাম্মেদ বিল্লাল মিয়া,মো: আলী হোসেন,মো: রুবেল মিয়া,মো: রব মিয়া সহ ৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি হতাশ হয়ে আরো বলেন,তিন দিন অনশন চললেও প্রশাসন বা মিল কতৃপক্ষ শ্রমিকদের কোন প্রকার খোজ খবর নিচ্ছেনা।

বক্তারা বলেন, কর্মকতার্দের মনোরঞ্জনের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করা হয়। কিন্তু শ্রমিকদের মুখে দুমুঠো মাত তুলে দেয়ার কোন প্রয়াস নেই। তারা বলেন,এবারের আন্দোলন একমুঠো ভাতের জন্য আন্দোলন। এবারের আন্দোলন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বেঁচে থাকার আন্দোলন।

উল্লেখ্য, বকেয়া মজুরি কমিশন, পিএফ’র টাকা প্রদান ও বদলি শ্রমিকদের স্থায়ীকরণ, মজুরি কমিশনসহ গত মাসের ২৩ তারিখ থেকে ১১ দফার দাবীতে আন্দোলন করছে। অনশনে ইউনাইটেড-মেঘনা-চাঁদপুর (ইউএম সি ) জুট মিলের স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় ৫ হাজার শ্রমিক রয়েছে।

এখানে কমেন্ট করুন: