নকল ও ভেজাল ঔষুধ বন্ধের দাবীতে নরসিংদীতে দুই গ্রপের পাল্টা পাল্টির অভিযোগ, ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন

মো: শফিকুল ইসলাম:

নকল ও ভেজাল ঔষুধ বন্ধের দাবীতে নরসিংদীতে দুই গ্রপের পাল্টা পাল্টির অভিযোগ থাকলেও, ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন।ফলে ফারিয়া নামে সংগঠনের ব্যানারে গতকাল মানববন্ধনে ঔষুধ কোম্পানীর প্রতিনিধি ছেলাল মিয়া ফকির, নাজমুল ইসলাম মৃধা জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়ে বলেন, অতি লোভের আশায় নরসিংদী স্টেশন রোড সহ জেলার ঔষুধ ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন কোম্পানীর ঔষুধ সরবরাহ বন্ধ করে ঢাকা মীরপুর থেকে ভেজাল নিম্নমানের ঔষুধ এনে বিক্রি করছে।

যার ফলে মানুষ প্রতারিত হচ্ছে এবং জীবন হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়ছে নকল ঔষুধে মানব দেহের কোন কাজই করছেনা যার ফলে মানুষের রোগ আর ভাল হচ্ছেনা ঔষুদের গায়ে মুল্য না থাকায় মুল্যের ২/৩ গুন বেশি দাম নিচ্ছে ব্যাবসায়ীরা আর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারন মানুষ এই সুযোগে অসাধু ব্যাবসায়ীরা হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। প্রশাসন জেনেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা। ফলে অসাধু ব্যাবসায়ীদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যই তারা রাস্তায় দারিয়েছে।

অপরদিকে বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ডায়গনষ্টিক সমিতি নরসিংদী জেলা শাখার সভাপতি চিন্ময় সাহা বিশু ও সম্পাদক মোঃ মজিবুর রহমান ভূইয়া বাবুলের কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, ঔষুধ কোম্পানীর লোকজন মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষুধ মার্কেট থেকে উঠিয়ে নেওয়ার কথা থাকলেও তারা ফারমিসি থেকে উঠিয়ে নিচ্ছেনা আর মেয়াদ উত্তির্ন ঔষুধ উঠিয়ে নিলেও সময় মত ফেরত দিচ্ছেনা যার ফলে তাদের নিকট থেকে ঔষুধ ক্রয় করা বন্ধ করে দিয়েছি।

যেহেতু জীবন বাচানোর জন্য ঔষুধ বিকল্প হিসেবে ঢাকা মীরপুর থেকে ঔষুধ এনে বিক্রি করা হচ্ছে আমরা তাদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপার,সিভিল র্সাজন,ঔষধ প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, সিভিল সার্জন ডাঃ ইব্রাহিম টিটন ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি না হলেও নরসিংদী জেলা ঔষুধ প্রশাসনের তত্বাবধায়ক হুমায়রা আফরোজ বলেন, নরসিংদী জেলায় ১৬ শ’র মত বৈধ ড্রাগ লাইসেন্সপ্রাপ্ত ফার্মেসী রয়েছে। এছাড়াও লাইসেন্স ছাড়া কিছু ফার্মেসী বিদ্যমান আছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। ভেজাল ও নকল ঔষুধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এখানে কমেন্ট করুন: