মো. শফিকুল ইসলাম :
নরসিংদীতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নাম ভাঙ্গিয়ে সরকারী ঘর, গাভী দেওয়ার কথাবলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দুই প্রতারকের বিরুদ্ধে জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ২য় আদালতে আয়েশা খাতুন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। অফিস সহকারী জানায় গত ২৭ জানুয়ারী রায়পুরা উপজেলার মরজাল মধ্যপাড়া গ্রামের খোরশেদ মিয়ার পুত্র সাইফুল ইসলাম রুদ্র ও নরসিংদীর ভেলানগরের মৃত নিয়ত আলীর পুত্র রাজু মিয়ার বিরুদ্ধে মামলাটি আমলে নিয়ে সমনের আদেশ দিয়েছে আদালত।
মামলার বাদী আয়েশা খাতুন জানায় আমাকে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে সরকারী ঘর,গাভী দেওয়ার কথাবলে প্রতারনা করে লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এখন টাকা চাইলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে তারা, আমি নিরুপায় হয়ে প্রতারকদের বিচারের জন্য মামলা দিয়েছি। নরসিংদী আইন জীবী সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান নাজির(আরমান)তিনি জানায় দুই প্রতাকের বিরুদ্ধে প্রতারনার মামলায় আদালত সমন দিয়েছে। ইতি পূর্বে প্রতারক সাইফুল ইসলাম রুদ্র মুহুরী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার জন্য জাল সাটিফিকেট দিয়ে আবেদন করলে ধরা পরায় আইন জীবী সমিতিতে উত্তম মাধ্যম দিয়ে তার সনদ বাতিল করাহয়। এই প্রতারকরা অনেক বার জেলে ছিল জামিনে বেরিয়ে একরে পর এক জনগনের সাথে প্রতারনা করছে।
তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। রায়পুরা উপজেলার বাখরনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম(নুরু) জানায় সাংবাদিক পরিচয়ে প্রতারনা করে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে পড়ছেন প্রতারকরা। কখন ও চাকুরি দেওয়ার নাম করে, আবার কখনো ইসলামি ফাউন্ডেশনের লোক ও ডিবি অফিসার সেজে প্রতারণা করেছে তারা। প্রতারকরা নরসিংদী ইসলামি ফাউন্ডেশনের ফর্ম নিয়ে আমার ইউনিয়নের প্রায় দুইশত লোকের নিকট হতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে সরকারী এক লক্ষ টাকা মুল্যের ঘর, গাভী,নিতে হলে প্রতিটি আইটেমের জন্য তাদেরকে নগদ ২৫ হাজার টাকা ও সেলাই মেশিন,ভেনগাড়ীর জন্য ১৫ শত টাকা করে দরিদ্র জনগনের নিকট হতে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
প্রতিদিন জনগন আমার নিকট বিচার নিয়ে আসছে। প্রতারকদের অনেক খুঁজেছি পাচ্ছিনা,আমরা প্রতারকদের বিচার চাই। ইসলামিক ফাউন্ডেশন নরসিংদী কার্যালয়ে উপ পরিচালক মো. মহি উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এই প্রতারকরা আমাদের নাম ভাঙ্গিয়ে ঘর,গাভী,ভেনগাড়ী,সেলাই মেশিন দেওয়ার কথা বলে জনগনের নিকট হতে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বাখরনগর এক মেম্বারের নিকট হতে মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি শুনেছি প্রতারকদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। প্রতারকদের ব্যাপারে প্রশাসনের করণীয় কি জানতে চাইলে,পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জুয়ারদার বলেন, এ সকল প্রতারকদের আইনের আওতায় আনার জন্য গোয়েন্দা বিভাগের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ইতি মধ্যে আমরা অনেক প্রতারক চক্রকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনেছি। আর যারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন তারা আমাদের কাছে অভিযোগ করলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা ও সার্বিক সহযোগিতা করব।